কোরআন শরীফে এবং হাদীসে জ্বীন জাতির অস্তিত্ব সম্পর্কে বিশদ আলোচনা রহিয়াছে ইতিহাস ও কোটি কোটি মানুষের অভিজ্ঞতা উহাদেরদিয়া জ্বীন জাতির অস্বীকার করিলে উহা চরম নিবুদ্ধিতারই নিদর্শন বলিয়া বিবেচিত হইবে।

আবার মূর্খতাবশতঃ সর্বক্ষেত্র জ্বীনের আছর বলিয়া নানা ভাবভঙ্গি করা নেহায়েত জ্ঞানান্ধতা ব্যতীত আর কিছুই নহে। প্রকৃত পক্ষে জ্বীনের দ্বারা বহু রোগের সৃষ্টি হয়। তেমনি করে বহু রোগের লক্ষণ এমন প্রকাশ পায়, যাহাকে অনেক লোক জ্বীনের আছর বলিয়াই ধরিযা লয়। কিন্তু বাস্তবপক্ষে উহা জ্বীন নহে বরং রোগেরই তাছির। কাজেই রোগী বা রোগিনীকে প্রথমতঃ পরীক্ষা করিয়া রোগ স্থির করিবে অতঃপর তাহার চিকিসা করিবে। ফলাফলের মালিক আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন।



মৃগী, সন্যাস ও নব প্রসূতির মস্তিস্ক বিকৃত হইয়া অনেক সময় জিনে ধরা মানুষের ন্যায় বেহুশ হইয়া থকে বিলাপও করিতে শোনা যায়। আবার অনেক জায়গায় ইচ্ছাপূর্বক রোগীর কৃত্রিমতাও ধরা পড়িয়া থাকে। কাজেই আমেলের খুব সুচতুর ও হুশিয়ার হওয়া দরকার।


জানিয়া রাখা উচিত, জ্বীন শরীরের ভিতর ঢুকিয়া গেলে রোগী অচৈতন্য হইয়া পড়িবে। ঢুকিবার প্রথমে অনেকের বুকে ব্যথাও হইয়া থাকে। দাত খিল মারিয়া থাকে। চক্ষু এমন করিয়া বন্ধ করিয়া দেয় যাহা খোলা খুবই কষ্টকর। রোগীর দাত ছাড়াইবার জন্য বহু জোরাজুরি করা হয়, ইহা আদৌ উচিত নহে। রোগের উপশম হইলে আপনা থেকেই সবকিছুই ঠিক হইয়া যাইবে। অনেক সময় জ্বীন শরীরের ভিতর না ঢুকিয়া বাহির থেকেও আছর করিযা থাকে। হুশিয়ার অভিজ্ঞ আলেম উহা ব্যক্তিগত দক্ষতার দ্বারা বুঝিয়া চিকিসা করিবেন

0 comments:

Post a Comment