সকল পিতা মাতা তার সন্তান কে তার সধ্য মত আদর যত্নে লালন পালন করে থাকেন। তারা সন্তান দের অতি স্নেহের মধ্যে, নিজে কষ্ট করে সন্তান কে কষ্ট না দিয়ে লালন পালন করেন। এর যন্ন তাদের প্রতি আমাদের কিছু দায়িত্ব বা কর্তব্য আছে। আমাদের এসকল দায়িত্ব পালন করা অবশ্যক। তারা যেমন আমাদের কে অতি স্নেহে আমাদের লালন পালন করেছেন তেমনি তাদের সাথে ও আমাদের ভাল ব্যবহার করা অত্যন্ত যরুরি। আমাদের কাছ থেকে ভাল ব্যবহার এবং তারা বুড় হয়ে গেলে তাদের দেখা শোনা পাওয়া তাদের হক। তেমনি আমাদের কর্তব্য। হাদিসের আলোকে কিছু পিতা মাতার হক নীচে দেওয়া হল:-
 
১। মা-বাবা যদি অন্যায়ভাবেও কষ্ট দেয় তবুও মা-বাপকে কষ্ট দিবে না।

২। কথায়, কাজে এবং ব্যবহারে সবক্ষেত্রে মা-বাবার তা'যীম করিবে। 

৩। (আল্লাহ্‌ ও রাসূলের নাফরমানির কথা না হইলে) মোবাহ কাজে মা-বাবার আদেশ অবশ্য পালন করিবে।
 
৪। মা-বাবা কাফের হইলেও দরকার হইলেতাহাদের ভরণ-পোষণের খেদমত করিবে।

৫। মা-বাবা মারা গেলে আজীবন তাহাদের গোনাহ্‌ বখশাইবার জন্য এবং আল্লাহ্‌র রহ্‌মত পাইবার জন্য আল্লাহ্‌র নিকট দোয়া করিতে থাকিবে এবং নফল নামায, রোযা, তসবীহ, তাহ্‌লীল ইত্যাদি পড়িয়া এবং দান-খয়রাত করিয়া তাহাদিগকে ছওয়াব পৌছাইতে থাকিবে।

৬। মা-বাবার প্রিয়জনের সহিত (মা-বাবার খাতিরে) ভাল ব্যবহার করিবে। তাহাদের উপকার করিবে। তাহাদের খাওয়া পরার অভাব হইলে নিজের শক্তি অনুসারে তাহাদের সাহায্য করিবে।

৭। মা-বাবার ঋণ পরিশোধ করিবে এবং জায়েয অছিয়ত পালন করিবে।

৮। মা-বাবার মৃত্যুর পর চীকার করিয়া কাদিবে না; কারণ ইহাতে তাহাদের রূহের কষ্ট হয়।


দাদা, দাদী এবং নানা, নানীর হক মা-বাপেরই তুল্য। এইরূপে খালা এবং মামুর হক মার তুল্য, চাচা এবং ফুফুর হক বাপের তুল্য। হাদীস শরীফের ইশারায় এইরূপই প্রমাণিত হয়।

0 comments:

Post a Comment