শিয়ালের মাংশ (হারাম খাদ্য)
হালাল খাবার
  • পশু বা পাখীর মধ্যে যাহারা শিকার ধরিয়া খায়, কিংবা যাহাদের খাদ্য শুধু নাপাক বস্তু, সেই পশু-পাখী জায়েজ নাই। যেমন, বাঘ, সিংহ, চিতাবাঘ, শৃগাল, শূকর, বিড়াল, বানর, বেজি। এইরূপে পক্ষীর মধ্যেও যে সব পক্ষী পায়ের দ্বারা শিকার ধরিয়া খায়; যেমন: বাজ, চিল, শিকরা, শকুন, কালকাক, ঈগল পক্ষী ইত্যাদি। পশু বা পক্ষীর মধ্যে যে সমস্ত পশু বা পক্ষী শিকার ধরিয়া খায় না, তাহা খাওয়া হালাল; যেমন: গরু, মহিষ, উট, ছাগল, ভেড়া, মুরগী, হাস ময়না, টিয়াপাখী, বক, চড়ূই, বটের পানিকড়ি, কবুতর, বন্যগরু, হরিণ, 
  • খরগোস, বন্যমুরগী, বন্যহাস, ইত্যাদি সব জায়েয।
  • সজারু, গোসাপ, কচ্ছপ, খচ্চর, গাধা খাওয়া দুরুস্ত নাই। গাধার দুধ খাওয়াও জায়েজ নাই। ঘোড়া খাওয়া জায়েয আছে বটে, কিন্তু জেহাদের সামান বলিয় আমাদের ইমাম ছাহেব মাকরূহ বলিয়ছেন। পানির মধ্যে
    হারাম খাবার
    যে সমস্ত জীব বাস করে, তান্মধ্যে একমাত্র মাছ খাওয়া জায়েজ, তাছাড়া অন্য সব না-জায়েয। (মাসাআলা : হালাল জানোয়ার ভিতর পেশাব পায়খানা ব্যতীত আরও সাতটি জিনিস না-জায়েজ। যেমন : রক্ত, রগ, পিত্ত, পুরুষঙ্গ, স্ত্রীলিঙ্গ, মুত্রাশয় ও অন্ডকোষ।)
  • মাছ এবং টিড্ডি ব্যতীত অন্য জানদার যবাহ্‌ ছাড়া হালাল হইতে পারে না। মাছ এবং টিড্ডির জন্য যবাহের দরকার নাই, অন্যান্য হালাল পশু-পক্ষী যবাহ্‌ ছাড়া খাওয়া জায়েয নাই। যবাহ্‌ ব্যতীত প্রাণ বাহির হইয়া গেলে তাহা হারাম।
  • মাছ পানিতে আপনা আপনি মরিয়া চিত হইয়া ভাসিলে খাওয়া জায়েয নাই। (যদি গরমি, আঘাত বা চাপাচাপির কারণে মরিয়া ভাসে, তবে খাওয়া জায়েয আছে।
  • গরু ছাগলের নাড়িভুড়ি খাওয়া হালাল। হারামও নায়, মাক্‌রূহ্‌ও নয়।
  • দৈ, চিনি বা গুড়ের মধ্যে পিপ্‌ড়া পোকা পড়িয়া থাকিলে তাহা ছাফ করিয়া খাইতে হইবে। ছাফ না করিয়া খাওয়া জায়েয নহে। ছাফ না করিলে যদি এক আধটি পিপড়া বা পোকা হলকুমের মধ্যে চলিয়া যায়, তবে মরা খাওয়ার গোনাহ্‌ হইবে। কোন কোন মূর্খেরা বলে যে, (আমের পোকা খাইলে সাতার শিখে) এবং জগডুমুরের পোকা খাইলে চোখ উঠে না, এসব মিথ্যা কথা। ঐ সব পোকা খাওয়া হারাম, খাইলে মরা খাওয়ার গোনাহ্‌ হইবে।
  • হিন্দুর দোকান হইতে বকরী, মুর্গী বা অন্য কোন শিকারের গোশ্‌ত কিনিয়া খাওয়া জায়েয নাই। এমনকি, যদি সে দোকানদার বলে যে, মুসলমানের দ্বারা যবাহ্‌ করাইয়া আনিয়াছি তবুও তাহা খাওয়া জায়েয নাই। অবশ্য যদি যবাহের যময হইতে ক্রয়ের সময় পর্যন্ত অনবরত কোন মুসলমান লক্ষ্য করিয়া থাকে, এক মিনিটেও অদৃর্শ না হইয়া থাকে এবং সেই মুসলমান বলে যে, আমি দেখিয়াছি মুসলমানই যবাহ্‌ করিয়াছে এবঙ যবাহ্‌র সময় হইতে এই সময় প্রর্যন্ত এক মিনিটের জ্ন্যও আমি গাফেল হই নাই, তবে সেই গোশ্‌ত খাওয়া জায়েয হাইবে। (এইরূপ হিন্দুর তৈয়ারী ঔষধের মধ্যে গোশ্‌ত বা কলিজার সার মিশ্রিত থাকে তাহাও ব্যবহার করা জায়েয নহে।
  • যে সব মুরগী খোলা ধাকে এবং না-পাক খাইয়া বেড়ায়, তাহা তিন দিন বন্ধ রাখিয়া যবাহ্‌ করিবে। তিন দিন না বাধিয়া খাইলে মাকরূহ্‌ হইবে। islam

0 comments:

Post a Comment