আল্লাহ্‌র নিকট নামায অতি মর্তবার এবাদত। আল্রাহ্‌র নিকট নামায অপেক্ষা অধিক প্রিয় এবাদত আর নাই। আল্লাহ্‌ পাক স্বীয় বন্দাগণের উপর দৈনিক পাচ ওয়াক্ত নামায ফরয করিয়াছেন। যাহারা দৈনিক পাচ ওয়াক্ত নামায রীতিমত পড়িবে, তাহারা (বেহেশ্‌তের মধ্যে অতি বড় পুস্কার এবং) অনেক বেশী  ছওয়াব পাইবে (আল্লাহ্‌র নিকট অতি প্রিয় হইবে)। যাহারা নাময পড়ে না তাহারা মহাপাপী। 




অন্য হাদীসে আছে, 'কিয়ামতে সর্বাগ্রে নামাযেরই হিসাব লওয়া হইবে। নামাযীর হাত, পা এবং মুখ কিয়ামতে সূর্যের মত উজ্জল হইবে; বেনামায়ীর ভাগ্যে তাহা জুটিবে না।'


(নাময আল্লাহ্‌র ফরয) অতএব, প্রত্যেকেরই নামায পড়া একান্ত আবশ্যক। নামায না পড়িলে আখেরাতের অর্থা, পরজীবনের ক্ষতি তো আছেই, ইহজীবনেরও ক্ষতি আছে। অধিকন্তু যাহারা নামায না পড়িবে, কিয়ামতের দিন তাহাদিগকে কাফিরদের সমতুল্য গণ্য করা হইবে। আল্লাহ্‌ বাচাউক। নামায না পড়া কত বড় অন্যায়। (অতএব, হে ভাই-ভগ্নিগণ! আসুন, আমরা সকলে মিলিয়া অত্যন্ত যত্নসহকারে নামায পড়ি এবং আসমান জমিনের সৃষ্টিকর্তা সবৃশক্তিমান আল্লাহ্‌র গযব ও দোযখের আযাব হইতে বাচিয়া বেহেশতের অফুরন্ত নেয়ামতভোগী হইয়া তাহার প্রিয়পাত্র হই।)



নামায কাহারও জন্য মা'ফ নাই। কোন অবস্থায়ই নামায তরক করা জায়েয নহে। রুগ্ন, অন্ধ, খোড়া, আতুর, বোবা,বধির যে যে াবস্থায় আছে, তাহার সেই অবস্থাতেই নামায পড়িতে হইবে। অবশ্য যদি কেহ ভুলিয়া যায় বা ঘুমাইয়া পড়ে, ওয়াক্তের মধ্যে স্মরণ না আছে বা ঘুম না ভাঙ্গে, তবে তাহার গোনাহ্‌ হইবে না বটে; কিন্তু স্মরণ হওযা এবং ঘুম ভাঙ্গা মাএই কাযা পড়িয়া লওয়া ফরয (এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক হইতে হইবে।) অবশ্য তখন মকরূহ ওয়াক্ত হইলে, (যেমন সূর্যের উদয় বা অন্তের সময় যদি স্মরণ আসে বা ঘুম ভাঙ্গে) তবে একট দেরী করিয়া পড়িবে, যেন মকরূহ্‌ ওয়াক্ত চলিয়া যায়। এইরূপে বেহুশীর অবস্থায় যদি নামায ছুটিয়া যায়, তবে তজ্ঝন্য গোনাহ্‌ হইবে না। অবশ্য হুশ আসা মাত্রই তাহার কাযা পড়িতে হইবে।


0 comments:

Post a Comment