আল্লাহ্র
নিকট নামায অতি মর্তবার এবাদত। আল্রাহ্র নিকট নামায অপেক্ষা অধিক প্রিয় এবাদত আর
নাই। আল্লাহ্ পাক স্বীয় বন্দাগণের উপর দৈনিক পাচ ওয়াক্ত নামায ফরয করিয়াছেন। যাহারা
দৈনিক পাচ ওয়াক্ত নামায রীতিমত পড়িবে, তাহারা
(বেহেশ্তের মধ্যে অতি বড় পুস্কার এবং) অনেক বেশী ছওয়াব পাইবে (আল্লাহ্র
নিকট অতি প্রিয় হইবে)। যাহারা নাময পড়ে না তাহারা মহাপাপী।
অন্য
হাদীসে আছে,
হযরত রসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ফরমাইয়াছেনঃ 'নামায দ্বীনের (ইসলাম
ধর্মের) খুটি স্বরূপ। যে উত্তমরূপে নামায কায়েম রাখিল, সে দ্বীনকে (দ্বীনের এমারতটি) কায়েম রাখিল এবং যে খুটি ভাঙ্গিয়া
ফেলিল, (অর্থাৎ, নামায পড়িল না) সে দ্বীনকে (দ্বীনের এমারতটি) বরবাদ করিয়া
ফেলিল।'
অন্য
হাদীসে আছে, 'কিয়ামতে সর্বাগ্রে
নামাযেরই হিসাব লওয়া হইবে। নামাযীর হাত, পা
এবং মুখ কিয়ামতে সূর্যের মত উজ্জল হইবে; বেনামায়ীর ভাগ্যে তাহা জুটিবে না।'
নামায
কাহারও জন্য মা'ফ নাই। কোন অবস্থায়ই
নামায তরক
করা জায়েয নহে। রুগ্ন, অন্ধ,
খোড়া, আতুর, বোবা,বধির যে যে াবস্থায় আছে, তাহার সেই অবস্থাতেই নামায পড়িতে হইবে।
অবশ্য যদি কেহ ভুলিয়া যায় বা ঘুমাইয়া পড়ে, ওয়াক্তের
মধ্যে স্মরণ না আছে বা ঘুম না ভাঙ্গে, তবে
তাহার গোনাহ্
হইবে না বটে; কিন্তু স্মরণ হওযা
এবং ঘুম ভাঙ্গা মাএই কাযা পড়িয়া লওয়া ফরয (এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক হইতে হইবে।) অবশ্য তখন
মকরূহ ওয়াক্ত হইলে,
(যেমন সূর্যের উদয় বা অন্তের সময় যদি
স্মরণ আসে বা ঘুম ভাঙ্গে) তবে একট দেরী করিয়া পড়িবে, যেন মকরূহ্ ওয়াক্ত চলিয়া যায়। এইরূপে বেহুশীর অবস্থায় যদি নামায
ছুটিয়া যায়, তবে তজ্ঝন্য গোনাহ্
হইবে না। অবশ্য হুশ আসা মাত্রই তাহার কাযা পড়িতে হইবে।
0 comments:
Post a Comment